বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন
আবীর আকাশ- লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি.
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামকে(৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাঁকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মিয়ার বেড়ি জোনাল অফিস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী।
আরিফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাঁর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায়। রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আরিফুল ইসলাম। গতকাল রাতে তাঁকে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার এক মামলায় ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন সেনাসদস্যরা। তাঁরা বিষয়টি খিলক্ষেত থানার পুলিশকে জানিয়েছেন। আজ শনিবার তাঁকে ওই থানায় হস্তান্তর করা হবে।
গতকাল রাতে আরইবির আইন শাখার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আরশাদ হোসেন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা করেন। মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচয়ে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্র এবং বিগত সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালীদের মদদে বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছেন। সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। গত ৮ আগস্ট বেলা ১১টায় মামলার চার আসামির নেতৃত্বে সমিতির প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী আরইবি সদর দপ্তর ঘেরাও করেন।
গত (২১ সেপ্টেম্বর) আবার ঘেরাও কর্মসূচির হুমকির দেওয়া হয়। গত (১ অক্টোবর) আরইবি ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা। গতকাল তাঁরা নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন এবং বেলা ১১টার দিকে তাঁদের কর্মস্থলগুলোয় বিদ্যুৎ-সংযোগ শাটডাউন করে গ্রাহকদের হয়রানি করেন। তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারকে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা চলাচ্ছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই কার্যালয়ের ডিজিএম (কারিগরি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, লক্ষ্মীপুরের পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রেপ্তার–আতঙ্কে আছেন। এ জন্য তাঁরা কার্যালয়ের বাইরে আত্মগোপন করেছেন।